Bangladesh: Human rights abusers go on UN missions | DW Documentary
সতর্কতা এই ভিডিওতে হত্যা এবং নির্যাতনের বর্ণনা রয়েছে এই কর্মকর্তাদের জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে মোতায়েন করা হয়েছে। এমনকি, তারা হত্যা এবং নির্যাতনের সঙ্গে জড়িত এক বিশেষ বাহিনীতে দায়িত্ব পালনের পরও৷ এটা দুঃখজনক, নিঃসন্দেহে৷ একটি সূত্র থেকে তথ্য পাওয়ার পর আমরা জাতিসংঘের মিশনে দায়িত্ব পালন করা কয়েকজন সৈনিকের বিষয়ে তদন্ত করেছি যাদেরকে পৃথিবীর সবচেয়ে অসহায়দের সুরক্ষায় নিয়োজিত করা হয়েছিল৷ আমরা যা পেয়েছি তা উদ্বেগজনক: আমরা কিছু সত্যিই খুব আজেবাজে সেনা পাই এবং কিছু খুব নিষ্ঠুর সেনাও৷ এই অনুসন্ধানে আমরা তুলে ধরেছি যে বাংলাদেশ এবং শ্রীলঙ্কা গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের সঙ্গে জড়িতদের শান্তিরক্ষায় পাঠিয়েছে৷ আমি ঠান্ডা মাথায় খুনসহ একাধিক বিচারবহির্ভূত হত্যার সাক্ষী৷ এবং জাতিসংঘ এই বিষয়টি দৃশ্যত উপেক্ষা করেছে৷ এটি ব্যাপকভাবে দায়মুক্তি যা বন্ধে কেউই কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে না৷ ফলে প্রশ্ন উঠেছে: এই চর্চা কীভাবে সম্ভব হয়েছিল এবং এখনো চলছে? নির্যাতনকারীরা যেভাবে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী আমরা জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে অন্যতম সেনা সরবরাহকারী রাষ্ট্র বাংলাদেশে৷ রাজধানী ঢাকার অদূরেই জাতিসংঘের প্রশিক্ষণক্ষেত্র বিপসট অবস্থিত৷ আমাদের পরিচয় কঠোরভাবে যাচাইবাছাইয়ের পর কম্পাউন্ডটিতে প্রবেশের অনুমতি দেয়া হয়৷ বাংলাদেশের সেনারা এখানে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নেন৷ আমাদেরকে বলা হয়েছে যে এই সেনাদের শীঘ্রই সাউথ সুদানে পাঠানো হবে৷ জাতিসংঘের দশটি মিশনে প্রায় ছয় হাজার বাংলাদেশি সেনা মোতায়েন রয়েছে৷ সাউথ সুদান সেগুলোর একটি৷ মেজর জেনারেল মো. নাসিম পারভেজ: তাদের বাধ্যতামূলক কাজ হচ্ছে বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষা দেয়া৷ এবং তারপর তারা আসলে বিভিন্ন মানবিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সহায়ক পরিস্থিতি তৈরি করে৷ আমাদের সফর সতর্কতার সঙ্গে সাজানো হয়েছিল৷ কোনো সেনা সদস্যের সঙ্গে সরাসরি কথা বলার সুযোগ দেয়া হয়নি৷ তার বদলে আমাদের সব প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন তাদের ঊর্ধ্বতনেরা৷ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আসাদুল হক: মিশনে যাওয়ার জন্য অবশ্যই বাংলাদেশের পর্যাপ্ত সেনা সদস্য রয়েছে৷ এটা আমাদের জন্য অহংকারের ব্যাপার৷ এবং আমাদের অনেক মানুষ আছেন যারা নির্দ্বিধায় শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে অবদান রাখতে চান৷ অহংকারের ব্যাপার – তবে এটি বাংলাদেশ এবং ব্যক্তিগতভাবে সেনাদের জন্য লোভনীয় ব্যাপারও: জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে একজন সেনা সদস্য নিজ দেশে থাকাকালীন সময়ের তুলনায় বেশি বেতন পান এবং জাতিসংঘ সংশ্লিষ্ট দেশকে এসংক্রান্ত খরচও দেয়৷ সরকারি কর্মকর্তাদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশ গত ২৩ বছরে শান্তিরক্ষা মিশন থেকে ২৮ হাজার কোটি টাকা আয় করেছে৷ শান্তিরক্ষীদের একটি জাতি হিসেবে আমি আপনাকে নিশ্চিত করতে পারি যে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা কর্মকাণ্ডে আমরা বরাবরই মুখ্য অবদানকারী থাকবো৷ তবে এই জেনারেলরা অত্যন্ত সতর্কতার সাথে যে চিত্র আমাদের সামনে তুলে ধরতে চেয়েছেন তা শুধু গল্পের একদিক৷ বেশ কয়েকবছর ধরে বিভিন্ন মানবাধিকার গোষ্ঠী এবং রাজনৈতিক নেতারা বাংলাদেশের নিরাপত্তা বাহিনীগুলোর বিস্তৃত মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে কথা বলছে৷ আর এই সত্ত্বাগুলোই শান্তিরক্ষী বাহিনী গড়ছে৷ এবং একটি গোষ্ঠী নিয়ে বিশেষ উদ্বেগ আছে: ব়্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন বা ব়্যাব৷ অভিজাত এই বাহিনীটি সন্ত্রাসবাদ এবং অপরাধ দমনে সৃষ্টি করা হয়েছিল৷ ২০২৩ সালে আমরা উন্মোচন করেছিলাম, সর্বোচ্চ রাজনৈতিক পর্যায়ের সহায়তায় ব়্যাব হত্যা, অপহরণ এবং নির্যাতন করে থাকে – যা সরকার অস্বীকার করে আসছে৷ ব়্যাবে দায়িত্ব পালনের পর অনেক কর্মকর্তাকে উচ্চবেতনের জাতিসংঘ মিশনে মোতায়েন করা হয় বলে আমাদের নিশ্চিত করেছেন সাবেক এক ব়্যাব কমান্ডার৷ তিনি নিজেও মানবাধিকার লঙ্ঘনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন এবং পরবর্তীতে জাতিসংঘের মিশনে গিয়েছিলেন৷ আমার দেখামতেতো সবাই ব়্যাবে সার্ভ করে পিসকিপিং মিশনে চলে গেছেন৷ আমরা কয়েকমাস ধরে তার এই দাবি যাচাইয়ের এবং শান্তিরক্ষা মিশনে ব়্যাবের সম্পৃক্ততার বিস্তৃতি খুঁজে বের করার চেষ্টা করেছি৷ সামরিক বিভিন্ন সূত্র আমাদেরকে আরেক সাবেক ব়্যাব কর্মকর্তার সঙ্গে যুক্ত হতে সহায়তা করেছেন যিনি স্বেচ্ছায় আমাদের সঙ্গে কথা বলেছেন৷ আমি বর্তমানে শান্তিরক্ষী হিসেবে মোতায়েন রয়েছি৷ এটা আমার জাতিসংঘের পরিচয়পত্র৷ আফ্রিকায় এক মিশনে থাকাকালে এই ব্যক্তি আমাদের যে ভিডিও স্বীকারোক্তি পাঠিয়েছিলেন এটি তার স্কেচ৷ আমরা তার পরিচয় নিশ্চিত হয়েছি, তবে তিনি কথা বলার সময় শর্ত দিয়েছিলেন যে তার চেহারা এবং কণ্ঠ আমরা প্রকাশ করতে পারবো না৷ ব়্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়নে দায়িত্ব পালনের সময় আমি কয়েকজন তরুণকে ঠান্ডা মাথায় হত্যাসহ একাধিক বিচারবহির্ভূত হত্যার চাক্ষুষ সাক্ষী৷ এছাড়া একাধিক রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অপহরণের ঘটনা দেখেছি আমি৷ তিনি সুনির্দিষ্ট যেসব হত্যা অভিযানে অংশ নিয়েছিলেন সেগুলোর লোমহর্ষক বিস্তারিত বিবরণও দিয়েছেন৷ এক ব্যক্তির মাথার খুলিতে গুলি লাগার পর তার রক্ত এবং ঘিলু ছিটকে এসে আমার উর্দিতে লাগে৷ জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে এমন কর্মকর্তাদের রাখা উচিত নয় যারা এধরনের গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের সঙ্গে জড়িত৷ এটি শান্তিরক্ষার উদ্দেশ্যকে ব্যাহত করে৷ শান্তিরক্ষার উদ্দেশ্য প্রায় আট দশক আগে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছিল: দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ভয়াবহতার পর শান্তিরক্ষা মিশনের ধারনার জন্ম হয়৷ ভালো কিছুর উদ্দেশ্যে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নির্দেশে গড়া একটি বাহিনী৷ দেখা যাক, আমরা আমাদের সময়ে, পৃথিবীকে একটি ন্যায্য ও স্থায়ী শান্তির দিকে নিতে পারি কিনা৷ এখন অবধি জাতিসংঘের ৭০টির বেশি মিশনে বিশ লাখের মতো সেনা কাজ করেছেন৷ কখনো কখনো শান্তিরক্ষীরা বেসামরিক নাগরিকদের রক্ষায় শেষ শক্তি ছিলেন, যখন তাদের রাষ্ট্র ব্যর্থ হয়েছে৷ আন্তোনিও গুতেরেস: তারা লাখ লাখ বেসামরিক নাগরিককে সুরক্ষা দিচ্ছেন, সংঘাতের বিপরীতে রাজনৈতিক সমাধানে সমর্থন যোগাচ্ছেন এবং যুদ্ধবিরতি রক্ষায় সহায়তা করছেন৷ তবে সময়ের সাথে সাথে শান্তিরক্ষা নিয়ে সমালোচনাও বেড়েছে এবং কঙ্গোর মতো দেশে সহিংস প্রতিবাদের মুখেও পড়েছে৷ শান্তিরক্ষীরা যৌন নিপীড়ন এবং দুর্নীতিসহ বিভিন্ন কেলেঙ্কারিতে জড়িয়েছেন, যার দ্রুতই নিন্দা জানিয়েছে জাতিসংঘ৷ সফল শান্তিরক্ষার জন্য জাতিসংঘের শান্তিরক্ষীদের বেসামরিক এবং উর্দি পরা অবস্থায় সর্বোচ্চ আচরণগত মান বজায় রাখা প্রয়োজন৷ কিন্তু শান্তিরক্ষীরা ব়্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়নের মতো কুখ্যাত বাহিনীতে দায়িত্ব পালনের পর কী ঘটে? আমরা কোপেনহেগেনে গিয়েছিলাম একজনের সঙ্গে দেখা করতে যিনি জাতিসংঘের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের নিরাপত্তা বাহিনীর মানবাধিকার লঙ্ঘন খতিয়ে দেখেছেন৷ আমার নাম ইয়েন্স মডভিগ৷ আমি কমিটি এগেনস্ট টর্চারের একজন সদস্য ছিলাম৷ আমি বাংলাদেশ বিষয়ক ব়্যাপোর্টারও৷ জাতিসংঘের সব সদস্য রাষ্ট্রের মানবাধিকার পরিস্থিতির দিকে নজর রাখতে মডভিগ এবং কমিটির অন্যান্য বিশেষজ্ঞদের জাতিসংঘ নিয়োগ দিয়েছিল৷ ২০১৯ সালে প্রকাশিত তাদের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে: ‘‘গভীর উদ্বেগ’’ ব়্যাবের সদস্যদের বিরুদ্ধে নির্যাতন, নির্বিচারে গ্রেপ্তার, গোপনে আটক, গুম এবং তাদের হেফাজতে থাকা অবস্থায় বিভিন্ন ব্যক্তিকে বিচারবহির্ভূতভাবে হত্যার বিশ্বাসযোগ্য অভিযোগ রয়েছে৷ যে সুপারিশটি ছিল তা হচ্ছে ব়্যাবের সাবেক এবং বর্তমান সদস্যদের শান্তিরক্ষা কর্মকাণ্ডে যুক্ত করা উচিত হবে না৷ ২০১৯ সালে ব়্যাবের সদস্যদের বাদ দেয়ার স্পষ্ট সুপারিশ করা হয়েছিল৷ আর সেই প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার পর কী হয়েছিল? আমরা যতটুকু জানি: কিছুই না৷ আমরা সেনা কর্মকর্তাদের সোশ্যাল মিডিয়া একাউন্ট ও শত শত ছবি যাচাই করেছি এবং দেখেছি ব়্যাবের অনেক সদস্য শান্তিরক্ষা মিশনে গিয়েছেন৷ সেনা সদস্যদের গোপন নথি এবং জাতিসংঘে মোতায়েনের তালিকা আমাদেরকে শতাধিক সাবেক ব়্যাব সদস্য সনাক্তে সহায়তা করেছে৷ তাদের মধ্যে চল্লিশ জনের বেশি কমিটির প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার পর মিশনে গেছেন৷ এবং এই তিনজনের দিকে আমরা বিশেষভাবে নজর দিয়েছি৷ কারণ ব়্যাবের মধ্যে তাদের সুনির্দিষ্ট অবস্থান: নাঈম এ. – মাসুদ আর. এবং হাসান টি. আইনি কারণে আমরা তাদের চেহারা দেখাতে পারছি না৷ মিশনে যাওয়ার আগে তারা তিনজনই ব়্যাবের কুখ্যাত ইন্টেলিজেন্স উইংয়ে কাজ করেছেন৷ এমনকি তাদের দুজন উপপরিচালক ছিলেন৷ আমাদের সূত্রগুলো নিশ্চিত করেছে যে, ইন্টেলিজেন্স উইং হত্যার অভিযান সমর্থন করে এবং টর্চার সেলের একটি নেটওয়ার্ক পরিচালনা করে যেগুলো ব়্যাবের বিভিন্ন কম্পাউন্ডের মধ্যে রয়েছে৷ এই ইউনিট কীভাবে নির্যাতন চালায় তা ব়্যাবের কয়েকজন কমান্ডার আমাদেরকে জানিয়েছেন৷ সাবেক ব়্যাব কমান্ডার: ওখানে ঝুলানোর কোনো ব্যবস্থা করা থাকে যেন তাকে টেনে হুক আপ করা যায়৷ এবং ইন্টারোগেট করা যায়৷ কোনো কোনো ক্ষেত্রে দেখা যায়, ওখানে পানির ব্যবস্থা থাকে যাতে, যেটা ব়্যাবের ভাষায় বলে ওয়াটার থেরাপি যে আপনাকে পানি দিয়ে দিলে আস্তে আস্তে হয়ত কথাগুলো বেরিয়ে আসে৷ সুতরাং এই ব্যক্তিদের, যারা এমন এক ইউনিটের সদস্য ছিল যেটি নিয়মিত নির্যাতন করে, কেউ শান্তিরক্ষী হওয়া থেকে বিরত রাখেনি কেন? এটা বুঝতে আমরা জাতিসংঘের যাচাই প্রক্রিয়ার দিকে তীক্ষ্ণ নজর দিয়েছি: সাধারণত এটা বিভিন্ন রাষ্ট্রের উপর নির্ভর করে, যারা অধিকাংশ শান্তিরক্ষী বাছাই এবং যাচাই করে: তবে একাধিক যৌন নির্যাতন কেলেঙ্কারির পর জাতিসংঘ ২০১২ সালে নতুন মানবাধিকার নীতি প্রণয়ন করে৷ সরকারগুলোকে এখন এটা প্রত্যয়িত করতে হয় যে মনোনয়নকৃত সেনারা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে বা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন বা আন্তর্জাতিক মানবিক আইন লঙ্ঘনে জড়িত ছিল বা জড়িত ছিল না৷ অর্থাৎ এই পাঁচজনের ক্ষেত্রেও, যারা খুব সম্ভবত গুরুতর অপরাধের সঙ্গে জড়িত ছিল, বাংলাদেশ এই নথিতে স্বাক্ষর করেছে৷ মীনাক্ষী গাঙ্গুলি, হিউম্যান রাইটস ওয়াচ: এই মুহূর্তে যা ঘটছে তা হচ্ছে একটি এবিউসিভ সরকারের কাছে জানতে চাওয়া হচ্ছে কোন কর্মকর্তারা এবিউসিভ এবং কারা নন৷ এখন, যেহেতু আমরা জানি যে মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য জনগণকে জবাবদিহি করার এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের সঙ্গে জড়িতদের জবাবদিহির আওতায় আনার আগ্রহও নেই, তাই এই পদ্ধতি কাজ করছে না৷ আমরা আমাদের অনুসন্ধান নিয়ে নিউইয়র্কে জাতিসংঘের ‘‘ডিপার্টমেন্ট অব পিসকিপিং অপারেশন্স’’-এর কাছে প্রশ্ন করতে চেয়েছিলাম৷ কিন্তু আমাদের বারংবার অনুরোধ সত্ত্বেও ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজি হননি তারা৷ তবে এক লিখিত উত্তরে তাদের এক মুখপাত্র জানান: প্রত্যেক ব্যক্তিকে যাচাইবাছাইয়ের জন্য আমাদের কাছে প্রয়োজনীয় সম্পদ এবং তথ্য নেই সেনাদের অধিকাংশই ভালো করেন, যদিও তাদের অনেককে প্রতিকূল পরিবেশে সীমিত সম্পদ নিয়ে দায়িত্ব পালন করতে হয়৷ বাংলাদেশ যদি এই নীতি পাশ কাটিয়ে যেতে পারে, অন্যান্য দেশও কি সেটা পারে না? … লন্ডনে আমরা এই নারীর সঙ্গে সাক্ষাত করেছি৷ আমি ফ্রান্সেস হ্যারিসন৷ আমি ইন্টারন্যাশনাল ট্রুথ এন্ড জাস্টিস প্রজেক্ট পরিচালনা করি৷ এটি একটি সংগঠন যেটি শ্রীলঙ্কার যুদ্ধ এবং যুদ্ধ পরবর্তী সময়ের বিভিন্ন তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহ করে৷ শ্রীলঙ্কায় যুগ যুগ ধরে চলা গৃহযুদ্ধের সময় সংঘটিত নৃশংসতার তথ্যপ্রমাণ হিসেবে বিভিন্ন ছবি আর জবানবন্দিতে ঠাসা তার ল্যাপটপ৷ শ্রীলঙ্কার সেনাবাহিনী এবং তামিল টাইগারদের মধ্যকার সংঘাত ২০০৯ সালে এক বিশেষ পরিণতিতে পৌঁছায়৷ দুইপক্ষই ভয়াবহ মানবাধিকার লঙ্ঘনের সঙ্গে জড়িত ছিল৷ তবে আজ অবধি সেসব ঘটনার কোনো জবাবদিহিতা তেমন একটা নিশ্চিত হয়নি৷ হ্যারিসন এই ছবিটি সম্পর্কে আমাদের সতর্ক করেছেন: মৃতদেহের দিকে মনোযোগ আকর্ষণ করা ব্যক্তির নাম জেনারেল শেভেন্দ্র সিলভা৷ তিনি একটি কুখ্যাত ইউনিটের আদেশদাতা ছিলেন যেটি, জাতিসংঘ জানাচ্ছে, যুদ্ধাপরাধের সঙ্গে জড়িত৷ তাসত্ত্বেও দশ বছর পর শ্রীলঙ্কা সরকার শেভেন্দ্র সিলভাকে একটি শীর্ষ পদে বসিয়েছে: সেনাপ্রধান৷ এর ফলে শত শত শান্তিরক্ষীকে মোতায়েনের দায়িত্ব তার উপর বর্তায়৷ এই নিয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে হট্টগোল সৃষ্টি হলে জাতিসংঘ ঘোষণা দেয় যে শ্রীলঙ্কা থেকে সেনা মোতায়েন স্থগিত করা হবে – তবে ‘‘যেখানে এই স্থগিতাদেশের কারণে জাতিসংঘের কর্মকাণ্ড পরিচালনা ঝুঁকির মুখে পড়বে’’ সেখানে এই স্থগিতাদেশ কার্যকর হবে না৷ অর্থাৎ জাতিসংঘ একটি দরজা খোলা রেখেছিল – ফলে প্রায় কিছুই বদলায়নি৷ জাতিসংঘের নিজস্ব পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১৯ সালে ৬৮৭ জন শান্তিরক্ষী পাঠিয়েছিল শ্রীলঙ্কা৷ সিলভা সেনাপ্রধান হওয়ার এক বছর পরও তারা ৬৬৫ জন সেনা পাঠিয়েছে৷ ফ্রান্সিস হ্যারিসন: অর্থাৎ কোনো প্রভাব পড়েনি৷ আর এটার অর্থ হচ্ছে শান্তিরক্ষা অপারেশনে যেভাবে সেনা মোতায়েন করা হচ্ছে তাতে মানবাধিকার অগ্রাধিকার পাচ্ছে না৷ এবং তারপর তারা কিছু একটা করার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে এবং তারপর সেই প্রতিশ্রুতি পূরণে ব্যর্থ হচ্ছে৷ এবং আরো ব্যাপার রয়েছে: হ্যারিসন আমাদের জানিয়েছেন, তিনি শ্রীলঙ্কার কয়েকজন শান্তিরক্ষী সম্পর্কে জাতিসংঘকে সতর্ক করেছেন যারা সম্ভবত যুদ্ধের সময় নৃশংসতার সঙ্গে জড়িত ছিলেন৷ ২০১৯ সালে তিনি কর্নেল শ্রীনাথ জি. নামে শ্রীলঙ্কার এক ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তা সম্পর্কে জাতিসংঘকে সতর্ক করেছিলেন, যাকে তখন মোতায়েন করা হচ্ছিল৷ তার রেজিমেন্ট এবং তার সম্পর্কে আমরা যত তথ্য খুঁজে পেয়েছিলাম সেসবের আলোকে আমাদের মনে হয়েছিল যে যুক্তিসঙ্গতভাবে ঝুঁকি রয়েছে যে তিনি এমন এক সময়ে সংঘাতে সম্পৃক্ত ছিলেন যখন আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের বিস্তৃত লঙ্ঘন হয়েছিল৷ কিন্তু জাতিসংঘ মনে হচ্ছে তার সেই সতর্কতা গুরুত্বের সঙ্গে নেয়নি: বরং হ্যারিসন তাদেরকে সতর্ক করার কয়েকদিন পর শ্রীনাথ জি.-কে মালিতে একটি কন্টিনজেন্টের কোম্পানি কমান্ডার করা হয়৷ এবং তাকে কে বিদায় জানিয়েছিলেন? জেনারেল শেভেন্দ্র সিলভা – একজন সম্ভাব্য যুদ্ধাপরাধী৷ আপনি কি ধারনা করতে পারেন এটা দেখার পর গৃহযুদ্ধের ভুক্তভোগীদের, লঙ্ঘনের শিকারদের, প্রতিক্রিয়া কী হয়েছিল? এটি ব্যাপকভাবে দায়মুক্তি যা বন্ধে কেউই কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে না৷ জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা বিভাগ ডিডাব্লিউকে জানিয়েছে যে, তারা এসব অভিযোগ গুরুত্ব সহকারে নিয়েছিল, কিন্তু এমন কোনো তথ্য পায়নি যা ইঙ্গিত দেয় শ্রীনাথ জি. লঙ্ঘনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন৷ আমি যদি এখনো জাতিসংঘে থাকতাম, তাহলে সম্ভবত এটা বলতে এত স্পষ্টভাষী হতে পারতাম না যে, আমরা কিছু সংখ্যক সত্যিই খুব আজেবাজে সেনা পাই এবং কিছু খুব নিষ্ঠুর সেনাও৷ আমাদের গবেষণার সময় জাতিসংঘের অভ্যন্তরের বিভিন্ন সূত্রের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি৷ তবে বার্লিনের বাসিন্দা এই সাবেক কর্মকর্তা শুধু ক্যামেরার সামনে বক্তব্য দিতে রাজি হয়েছেন৷ আমার নাম অ্যান্ড্রু গিলমোর৷ আমি ২০১৬ থেকে ২০১৯ অবধি জাতিসংঘের সহকারী মহাসচিব ছিলাম৷ ফলে তিনি জানেন যে জাতিসংঘ যখন কোনো দেশকে সম্ভাব্য মানবাধিকার লঙ্ঘনকারীদের বাদ দিতে চাপ দেয় তখন কী ধরনের প্রতিক্রিয়া হয়৷ আমরা বিভিন্ন দেশে এটা চেষ্টা করেছি এবং তারা খুব আপোষহীন মনোভাব দেখিয়েছে৷ এবং একটি দেশ যেটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল আক্ষরিক অর্থেই বলেছে, ঠিক আছে, আমরা একসঙ্গে সব সেনা প্রত্যাহার করে নেবো৷ এবং তখন সেই সময়কার জাতিসংঘের মহাসচিবকে সেই দেশে গিয়ে দেশটির রাষ্ট্রপ্রধানের কাছে মূলত ক্ষমা চাইতে হয়েছিল৷ অন্যথায়, জাতিসংঘের চারটি শান্তিরক্ষা কার্যক্রম ভেঙে পড়তো৷ তিনি অবশ্য দেশটির নাম বলেননি এবং গুরুত্ব দিয়ে বলেছেন যে, জাতিসংঘের পক্ষে যা করা সম্ভব, জাতিসংঘ তা করে৷ তবে তার সাক্ষ্য একটি বিষয়ের দিকে মনোযোগ টানে: শান্তিরক্ষী ইস্যুতে জাতিসংঘকে ব্ল্যাকমেইলের কাছে অসহায় মনে হয়৷ এটা এমন নয় যে জাতিসংঘ বলতে পারে, ঠিক আছে, আমরা এই দলটি নেবো কারণ এই দেশ মানবাধিকারের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে৷ এবং আমি দুঃখিত, আপনাদেরকে নিতে পারছি না৷ তাদের এমন বাছাইয়ের সুযোগ নেই৷ এটার একটা কারণ আছে: বিপজ্জনক এবং প্রাণঘাতী মিশনের মুখোমুখি হওয়ায় পশ্চিমা সরকারগুলো শান্তিরক্ষা কর্মকান্ড থেকে ক্রমশ সেনা প্রত্যাহার করে নিচ্ছে৷ তার বদলে তারা এসব মিশনে অর্থ প্রদান করছে৷ ফলে ময়দানে সৈন্য পাঠাতে হচ্ছে বাংলাদেশ, পাকিস্তান, মিশর বা চীনের মতো দেশগুলোর৷ এসব দেশের অনেকগুলো এবিউসিভ নিরাপত্তা বাহিনীর জন্য পরিচিত৷ অ্যান্ড্রু গিলমোর, ব্যর্গহফ ফাউন্ডেশন: এমন এমন পরিস্থিতি তৈরি হয় যেখানে আক্ষরিক অর্থেই শান্তিরক্ষীরা অনুপস্থিত থাকলে হাজার হাজার মানুষের প্রাণহানী হতে পারতো৷ আর তখন আপনাকে সমন্বয় সাধন করতে হয়, হাজার হাজার লোকের মৃত্যুর চেয়ে দুই তিনটি ‘পচা আপেল’ বা ‘মন্দ লোক’ পাঠানো অপেক্ষাকৃত কম খারাপ বিকল্প মনে হয়৷ ফ্রান্সিস হ্যারিসন: এটি একটি অত্যন্ত বেদনাদায়ক স্বীকারোক্তি৷ তাই নয় কী? দুটি বা তিনটি ‘পচা আপেল’ বা ‘মন্দ লোক’ পাঠানো৷ আমি বোঝাচ্ছি, দেখুন শ্রীলঙ্কাতে এই মন্দ লোকগুলো কী করেছে৷ ইয়েন্স মডভিগ: নিঃসন্দেহে এধরনের মিশন যে শান্তি প্রতিষ্ঠা করবে তার উপর আস্থা রাখা অত্যন্ত কঠিন৷ বাংলাদেশের কর্মকর্তারা সকল ধরনের সমালোচনা এবং ব়্যাবকে শান্তিরক্ষায় মোতায়েন থেকে বাদ দেওয়ার আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেছে৷ সরকারপন্থি একটি চ্যানেলে সম্প্রতি প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশ সরকারের একজন উচ্চপর্যায়ের সদস্য যারা তাদের শান্তিরক্ষীদের সমালোচনা করছেন তাদের প্রতি পরিষ্কার একটি বার্তা দিয়েছেন৷ শাহরিয়ার আলম: তারা একটি দেশের কংগ্রেসম্যান বা সিনেটর বা প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রী যাই হোক না কেন… তারা আমাদের শত্রু৷ জাতিসংঘের লোভনীয় মিশন থেকে বাংলাদেশ আসলেই সেনা প্রত্যাহার করে নেবে কিনা তা আসলে কেউই অনুমান করতে পারে না৷ বাংলাদেশে জাতিসংঘের প্রশিক্ষণক্ষেত্রে জেনারেলরা বারংবার সমালোচনামূলক প্রশ্নগুলোকে সতর্কতার সঙ্গে সাজানো উত্তর দিয়ে এড়ানোর চেষ্টা করেছেন৷ তারা বরং শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশের অঙ্গীকারের পরিধি বাড়ানোর দিকে গুরুত্ব দিয়েছেন৷ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আসাদুল হক: আমি আনন্দের সাথে আপনাদের জানাতে চাই যে, জাতিসংঘ সদরদপ্তর আমাদেরকে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর জন্য তৈরি একটি শান্তিরক্ষা নেটওয়ার্কে সমন্বয়ক হওয়ার অনুরোধ করেছে৷ এই প্রক্রিয়া চলছে৷ বিশ্ব আমাদেরকে কীভাবে গুরুত্ব দিচ্ছে তার প্রতিফলন এসব৷ সুতরাং বাংলাদেশ যেসব নিরাপত্তা বাহিনী মানবাধিকার লঙ্ঘনের সঙ্গে জড়িত বলে পরিচিত সেখান থেকে আরো সেনা শান্তিরক্ষায় মোতায়েন করতে পারে৷ আজ অবধি জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা বিভাগ প্রকাশ্যে বাংলাদেশের সমালোচনা করেনি৷ কয়েকমাস ধরে চলা আমাদের অনুসন্ধানে এটা উঠে এসেছে যে, শান্তিরক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে নেয়ার স্বার্থে জাতিসংঘ দৃশ্যত এই চড়া মূল্য দিতে প্রস্তুত৷ জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা বিভাগ ব্ল্যাকমেইলের কাছে অসহায় থাকার অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে জানিয়েছে: ‘‘একক কোনো সেনা সহায়তা প্রদানকারী শান্তিরক্ষা কর্মকান্ডের কার্যকারিতা নষ্ট করার জন্য বিশ্বাসযোগ্য হুমকি দিতে পারে না৷’’ আমরা বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা সরকার এবং এই প্রতিবেদনে নাম উল্লেখ করা কর্মকর্তাদের কাছে আমাদের অনুসন্ধান নিয়ে তাদের বক্তব্য জানতে চেয়েছিলাম৷ কিন্তু তারা কোনো জবাব দেয়নি৷
With this investigation, we can reveal that two of the UN’s troop contributing countries — Bangladesh and Sri Lanka — are sending officers on peacekeeping missions who are implicated human rights violations like torture and extrajudicial killings back home. The UN is seemingly turning a blind eye.
For this story we teamed up with Netra News and Süddeutsche Zeitung.
An Investigation by Naomi Conrad, Arafatul Islam & Birgitta Schülke
In cooperation with
Netra News
Süddeutsche Zeitung
And several others, who, for security reasons, cannot be named
How the elite police force RAB terrorizes the people of Bangladesh: https://youtu.be/aVxG7K1PGHM
#documentary #dwdocumentary #investigativejournalism
______
DW Documentary gives you knowledge beyond the headlines. Watch top documentaries from German broadcasters and international production companies. Meet intriguing people, travel to distant lands, get a look behind the complexities of daily life and build a deeper understanding of current affairs and global events. Subscribe and explore the world around you with DW Documentary.
Subscribe to:
⮞ DW Documentary (English): https://www.youtube.com/dwdocumentary
⮞ DW Documental (Spanish): https://www.youtube.com/dwdocumental
⮞ DW Documentary وثائقية دي دبليو (Arabic): https://www.youtube.com/dwdocarabia
⮞ DW Doku (German): https://www.youtube.com/dwdoku
⮞ DW Documentary हिन्दी (Hindi): https://www.youtube.com/dwdochindi
For more visit: http://www.dw.com/en/tv/docfilm/s-3610
Follow DW Documentary on Instagram: https://www.instagram.com/dwdocumentary/
Follow DW Documental on Facebook: https://www.facebook.com/dwdocumental
We kindly ask viewers to read and stick to the DW netiquette policy on our channel: https://p.dw.com/p/MF1G
34 comments
Bangladesh has a contingent serving in UN mandated -MONUSCO.
.in Democratic Republic of Congo…
Almost no muslim country have proper democratic govt or police/army. Same is with the Bangladesh, as no rich country want to send their men for unrelated conflicts. So, this discussion is useless
Africa need kick out the UN they agent of the Enemies
Now show what the German police does to protesters in their own country. 😉
haha, how much VNP paid you?
All this penetrative investigation……..AND………what is the outcome?
No accountability 😮
Oh really?? What are you doing with gaza?? The World is not Blind. Practice of Democracy. Huah ???? It is not so called democracy, rather it is called Hippocrasy. Next Time USA should keep it in mind First.🤡🤡
Joy bangla
UN should not exist. They are useless and a drain on the countries that pay the bills.
They did nothing when Russia invaded Ukraine twice. There is no way in their charter to throw a nation out.
Not only that, Russia and China both have veto powers! Useless I say.
Why’s the West so hyper focused on this country?
Because an oil reserve was just located there.
Thank you
Something like UNRWA/ hamas…
The UN ??? ABSENT
Incompetence and intolerance – United Nations core competencies.
No Wonder the Israelis never trust UN and it's Officials
Europe contribution is the lowest in UN and they still want to bad mouth Volunteers from Bangladesh which is one of the top contributors. DW is definitely paid to destabilize Bangladesh government.
❤RAB
Same old propaganda to defame whole army and country for few supposedly abusers! From a country that has been supplying arms to kill children and women in Gaza and even don't allow protest against those killings.
Those crooks are disgrace to the Bangladeshi army, these are not military but a contract killer for their brutal lady dictator and her regime. Bye the way whole concept of un peace keeping mission in Africa is explicitly an entirely misleading, it’s rather looking after the natural resources of African nations behalf of big corporations mafias.
The question should be how many soldiers do western and developed nations provide for UN peacekeeping. It’s easy to criticise nations but at least they send their people to fight battles which have no real benefit for them.
Not sure I belong to the species. We may as well be Ameba!
RAB (Rapid action battalion) made by America and India….. America and India is bad for our country
FINALLY a mainstream channel says it out loud… this isn't only in Bangladesh. UN is as fake as it can be
Propaganda machine. Shame on you.
That formal UN member is the only one who seems to have sense. You can't have 100% purity in everything..
There's usually only 2 types of soldier. The Barbarian and the Humanitarian.
propaganda on bangladesh
Netra news :v lol
Is there any single country available in this 2024 ,where little bit of corruption is not available!!
Lol
Lol os.it.brutal yhen IOF😅, US Troops or allaied troops.. Ffs
What human rights are you talking about 😂😂 which human rights doesn't exist in gaza I don't believe human rights anymore
I think Europe should send soldiers with 100 times higher pay,. If you want to save money then you get this.
80 Bangladeshi soldiers died in these peacekeeping missions till now. Return the lives of our precious boys. Bangladesh Army has clean image. While the RAB is the only unit that is accused of human right abuse. But again they are an elite police force. Which police force in the world is not accused of human right abuses? USA's involvement in Bangladesh's politics has suddenly led many western new agencies to criminalize Bangladesh while Bangladesh is the country that is hosting over 1 million Rohingya refugees. We just don't want our boys to waste life in the name of global peacekeeping while they are being villainized. Do not ask for soldiers again.
The un the useless nations
Then send the german army.